EV Showroom Buisness: ইলেকট্রিক গাড়ির শোরুম খুলুন, লোন দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার! বেকারদের চিন্তার দিন শেষ!

EV Showroom Buisness: অন্যের হয়ে চাকরি করে নয়, নিজের ব্যবসা খুলে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার করার ইচ্ছে থাকে প্রচুর মানুষের। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কোন ব্যবসা শুরু করলে প্রচুর পরিমাণে লাভ করা সম্ভব হবে, কোন জিনিসে মানুষের চাহিদা বৃদ্ধি পেতে পারে বা নির্দিষ্ট কোন জায়গায় নিজের ইনভেস্টমেন্ট করলে তবেই ভালো ফল পাওয়া যাবে।

ব্যবসা শুরু করলে অবশ্যই সেখানে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যথেষ্ট পরিমাণে। কিন্তু কেউ যদি প্রচুর টাকা বিনিয়োগ করে একটি ব্যবসা শুরু করেন আর তারপর সেখানে ক্রমশই ক্ষতি হতে থাকে তাহলে সেই ব্যবসা করার ইচ্ছাটাই চলে যায়। কিন্তু এখন থেকে এমনটা আর হবে না। কারণ আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে এমন এক দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া আমরা তুলে ধরতে যাচ্ছি, যার চাহিদা দিনে দিনে বাড়তেই থাকবে।

আমাদের দেশে বহু মানুষই বিভিন্ন রকম নামি দামী কোম্পানির ফ্রাঞ্চাইজি নিয়ে ব্রাঞ্চ খুলে নিজের ব্যবসা শুরু করে থাকেন। তাই আপনি যদি এমন ভাবেই ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলের ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে সেই ক্ষেত্রে ক্ষতির তুলনায় লাভের সম্ভাবনাই বেশি।

বর্তমান যুগে দূষণমুক্ত দেশ গঠনের দিকে জোর দিচ্ছে ভারত সরকার। তাই এই বাজারে সম্পূর্ণ দূষণমুক্ত যানবাহনের চাহিদা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে সময়ের সাথে সাথে। বহু মানুষ বর্তমানে পেট্রোল চালিত মোটরসাইকেলের পরিবর্তে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেলকে বেশি পছন্দ করে থাকেন। তাই এই ব্যবসা শুরু করলে আপনার ব্যবসায় ক্রমশই লাভ হবে।

এই ব্যবসা কত রকমের হয়?

এই ব্যবসা মূলত চার রকম ভাবে করা যেতে পারে।

  • খুব পরিচিত ব্র্যান্ডেড শোরুম খুলে।
  • কম পরিচিত ব্রান্ডের শোরুম খুলে।
  • মাল্টি ব্র্যান্ড শোরুম খুলে এবং,
  • নিজের ব্রান্ডের শোরুম খুলে।

আপনি যদি আপনার ব্যবসায় খুব বেশি রিস্ক নিতে না চান, তবে পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুম খুলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। ইলেকট্রিক ভেহিকেলের পরিচিত ব্র্যান্ডের মধ্যে রয়েছে Hero Ev, Ather, Pure EV, Revolt, TVS, Joy EV, Amo, Ola, Kinetic ইত্যাদি কোম্পানি। তবে এই ব্র্যান্ডগুলোর শোরুম খোলার ফ্রাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য অনেক বেশি যোগ্যতার প্রয়োজন হয়।

অন্যদিকে আপনি যদি কম পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুম খুলে আপনার ব্যবসা শুরু করতে চান, তবে আপনার ইনভেস্টমেন্ট এর পরিমাণও কম লাগবে। এর পাশাপাশি অন্যান্য যোগ্যতাও তুলনামূলকভাবে কম প্রয়োজন হবে। তবে যেহেতু মানুষ বেশি পরিচিত ব্র্যান্ডের জিনিস কিনতেই পছন্দ করে থাকেন, সেক্ষেত্রে আপনার ব্যবসায় কীভাবে উন্নতি করবেন তার সঠিক স্ট্যাটেজি তৈরি রাখতে হবে।

এছাড়াও আপনি বিভিন্ন কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল আপনার শোরুমে এনে বিক্রি করতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার শোরুমটি হবে মাল্টি ব্র্যান্ড শোরুম। এরকম মাল্টি ব্র্যান্ড শোরুম খোলার ক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজনে নিজের নামেও শোরুম খুলতে পারেন।

কত টাকা Invest করতে লাগবে?

খুব পরিচিত ব্র্যান্ডের শোরুম খোলার ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করতে হয়। এছাড়াও শোরুম যাতে লোকালয়ের মধ্যে এবং রাস্তার উপরে হয় সেই দিকেও নজর রাখতে হবে। অন্যান্য কম পপুলার ব্র্যান্ডের শোরুম এর ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২০ লক্ষ টাকা প্রাথমিকভাবে বিনিয়োগ করলেই ফ্রাঞ্চাইজি দেওয়া হয়ে থাকে।

এই ব্যবসার ক্ষেত্রে বর্তমানে প্রতিযোগিতা রয়েছে অনেক কম। তাই এইভাবে নতুন ব্যবসা শুরু করে নিজের ব্যবসায়িক বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে ইলেকট্রিক মোটরসাইকেল বিক্রি করে কয়েক হাজার টাকার লাভ করতে পারবেন আপনিও। আজকের এই ব্যবসার আইডিয়া যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে  অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। এমনই আরো নতুন ব্যবসার আইডিয়া জানার জন্য নিয়মিত ভাবে আমাদের পেজটিকে ফলো করুন।

Leave a Comment