E Mudra Loan: ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই একের পর এক নতুন প্রকল্পের সাথে মানুষের পরিচয় করাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি একটি নতুন প্রকল্প বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রকল্পটির নাম প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা।
এই প্রকল্পের সুবিধা কি? কারাই বা এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন? কীভাবে এই প্রকল্পে আবেদন জানাতে হবে? আজকের প্রতিবেদনে রইল সবটা।
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা এর আওতায় 10 লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বড় কথা এই প্রকল্পের আওতায় লোন নিতে হলে কাউকে কোনরকম গ্যারান্টি রেখে লোন নিতে হয় না। সুদের হারও বেশ কম।
প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের অন্তর্গত সদস্য ঋণ সংস্থা (MLIs) এইনি মুদ্রা, কমর্শিয়াল ব্যাংক (SCBs), রেজিনাল গ্রামীণ ব্যাংক (RRBs), অ-ব্যাংকিং ফাইনেনশিয়াল কোম্পানি (NBFCs) এবং মাইক্রো ফাইনেস সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ মিলিয়ন মানুষকে এই সুবিধা দান করেছে।
পিএম মুদ্রার পরিকল্পনার জন্য যোগ্যতা কি?
সবচেয়ে আগে আবেদন করার জন্য একজন ব্যক্তিকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। লোন নেওয়ার হিস্ট্রিতে কোনও রকম ব্যাংকের ডিফেলট থাকলে হবে না।
পিএম মুদ্রার পরিকল্পনা কী আদৌ লাভজনক?
এই প্রকল্পের আওতায় দেওয়া হয় পঞ্চাশ হাজার টাকা শিশু লোন। পঞ্চাশ হাজার থেকে পাঁচ লাখ টাকা অবধি কিশোর লোন দেওয়া হয। পাঁচ লাখ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত তরুণ লোন দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। এছাড়াও, বর্তমানে ছোট ব্যবসা ও আপনার কাজকে আরও বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত সুদের হারে লোন নিতে পারেন।
PM মুদ্রার পরিকল্পনার জন্য কীভাবে আবেদন করবেন?
এই পরিকল্পনার অধীনে লোন নিতে চান যিনি, তাঁকে ওয়েবসাইট mudra.org.in-এ যেতে পারে।
এর পরে, হোম স্ক্রিনে ‘এখনই আবেদন করুন’ বিকল্পে ক্লিক করুন।
এবার, – ‘নতুন উদ্যোক্তা’, ‘বিদ্যমান উদ্যোক্তা’ এবং ‘স্ব-কর্মসংস্থানকারী’-এর মধ্য দিয়ে দেওয়া বিকল্পগুলি থেকে আপনার বিকল্প বেছে নিন।
নতুন ক্ষেত্রে, ‘আবেদনকারীর নাম’, ‘ইমেল পরিচয়’ এবং ‘মোবাইল নম্বর’ উল্লেখ করতে হবে।
ওটিপি জনরেট করতে হবে এবং এর মাধ্যমে রেজিস্টার করুন।
SBI অ্যাকাউন্টধারীরা এই বিশেষ লোন পেয়ে যাবেন।
অফলাইনে আবেদন করতে হলে কোন ব্যক্তিকে তার নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। সেখান থেকে উপযুক্ত ফরম ফিলাপ করে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন তিনি।
প্রয়োজনীয় নথি (Required Documents for E Mudra Loan)
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- যে কোন কেওয়াইসি নথি (ভোটার কার্ড আধার কার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদি)।
- জাতিগত সংশাপত্র।
- আবেদনকারীর ঠিকানা ও ব্যবসার প্রমাণ।
- আয়ের প্রমাণ।
- ব্যাংকের পাসবুকের প্রথম পাতার জেরক্স।
- এক বছরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট।